হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১.৩০ মিনিটে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।আমাদের সহকারী এম এ আজিজ জানান । নিহত আল আমিন (১৮) গাজীপুর মহানগরীর বিজ্ঞান কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার বড় চতুরা গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার বর্ষা সিনেমা হলের পেছনে নূর চৌধুরীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
এরআগে ৪ মে আনুমানিক বেলা ১১.৩০ মিনিটে আশিকুর রহমান আল-আমিন ও তার আপন ছোট ভাই ও খালাতো ভাই সহ ৩ জন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এলাকায় ঘুরতে যায়। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে ৪/৫ জন বখাটে ছেলে এসে আশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাড়ী ও বাসা কোথায় ইত্যাদি। তারপর ওই চার-পাঁচজন মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং আশিককে বলে তার মোবাইল ও ক্যামেরা দিতে। মোবাইল, ক্যামেরা না দেওয়ার কারণে একজন ছেলে তার লুঙ্গির পিছন থেকে ছুরি বের করে আশিকের বুকের মধ্যে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সাথে সাথে সে নিজে রিকশা নিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হসপিটালে নিয়ে আসলে এক ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।এদিকে হসপিটালে আসার পর ডাক্তার থাকা সত্বেও সময়মতো সু-চিকিৎসা পায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রায় এক ঘন্টা তাকে চিকিৎসা বিহীন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। আশিকের বাবা ও মায়ের দাবি, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না দেওয়ায় তাকে বাঁচানো যায়নি ।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি উপস্থাপনা করেন। দাবিগুলো হলো-
১. হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে,
২.কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাস, মাদকাসক্তি দমন ও জনসাধারণ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন করতে হবে। ৩ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। পরে ডিসি মহোদয় এর কাছে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল।