রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Homeঅপরাধগরু চোরের উৎপাত যশোরের গ্রামে গ্রামে আতঙ্কিত গ্রামবাসী

গরু চোরের উৎপাত যশোরের গ্রামে গ্রামে আতঙ্কিত গ্রামবাসী

spot_img

যশোরের সবকটি উপজেলা, বেনাপোল র্পোর্ট থানা, সকল ইউনিয়নে গ্রামের মানুষ এখন গরু ছাগল চোর আতঙ্কে রয়েছে। সদর উপজেলার মাহিদিয়ায় গরু ছাগল চুরি করতে যেয়ে এ সপ্তাহে তিন চোর ধরা পড়ে। এরপর গভীর রাতে আবারো সেখানে চোর হানা দেয়। গরু চোরের ভয়ে সারারাত ঘুমাতে পারছেননা সাড়াপোল, রুপদিয়া, মন্ডলজ্ঞাতি, খোলাডাঙ্গা, সুজলপুরের মানুষ।

চৌগাছা উপজেলার মানুষ জানান, চৌগাছায় গ্রামে গ্রামে মানুষ এখন গরু ছাগল চোর আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা হিসাবে এমনিতে এখানে চোরের বেজায় উৎপাত।

মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের জামজামি গ্রামে গরু চোরের উৎপাতে আতঙ্কিত হয়েছেন গ্রামবাসী। হাসান সরদার নামে এক গৃহস্থীর বাড়িতে চোরেরা হানা দিয়ে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে চোরেরা একটি গরু ফেলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতের আনুমানিক ২টার সময় হাসান সরদারের বাড়ির গোয়ালঘরের তালা ভেঙে চোরেরা ৩টি গরু বের করে নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী ঘুম থেকে জেগে উঠে চোরদের তাড়া করলে চোরেরা একটি গরু ফেলে পালিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে রাতের অন্ধকারে ধানের ভুইতে আরও একটি গরু পাওয়া যায়। তবে তৃতীয় গরু ও তার বাছুর এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী ধারণা করছেন, চোরেরা ধানের ভুইতে শুয়ে থাকা গরুটিকে উঠানোর জন্য শীতের গেঞ্জি ব্যবহার করেছে। এছাড়াও, গ্রামের মসজিদে গরু চুরির ঘটনা মাইকিং করা হলে চোরেরা অবশিষ্ট দুটি গরু নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রাম পুলিশ সুভাস দাস জানান, একই রাতে জামজামি গ্রামের আরেক গৃহস্থী নীলকুমারের গোয়ালঘরের তালা কেটে চুরির চেষ্টা করে চোরেরা। তবে সেখান থেকে তারা কোনো গরু চুরি করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের ভেতরেই চোর চক্রের সদস্যরা আছে বলে ধারণা করা হয়। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত ভোজগাতী ইউনিয়নের জামজামি, ভোজগাতী, ধোনার, হরেগাতীসহ বিভিন্ন গ্রামে ৫০-৬০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় গরু খামারীরা রাতারাতি ঘুম হারিয়েছেন।

হাসান সরদারের জামাতা আলতাফ হোসেন জানান, চোরেরা গরুর ঘরের তালা ভেঙে ধানের ভুইতে টানতে টানতে গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি আরও বলেন, গরু চোরেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে বলে পুলিশ তাদের আটক করতে পারে না।

এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার এসআই মাসুম জানান, আলতাফ হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনার পর গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত চোর চক্রকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here