বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
Homeরাজনীতিক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার :পীর সাহেব চরমোনাই

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার :পীর সাহেব চরমোনাই

spot_img

স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারেরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ করার সময় হয়ে গেছে, দেশ ও জাতীর সাথে প্রতারণার কুফল তাকে ভোগ করতেই হবে। ভোটের সংস্কৃতি নির্মূল, উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ লুট করা, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচার করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার কারণে এই সরকার এখন গণধিকৃত ও কোনঠাষা হয়ে পড়েছে। সরকারের লোকজনের বেফাঁস কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায় দেশি বিদেশী চাপে তারা বেসামাল হয়ে গেছে। সমাবেশে ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ও ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

আজ শুক্রবার ২০ অক্টোবর বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম দক্ষিণ গেটে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী যুব আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সঞ্চালনায় সমাবেশের উদ্বোধক ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

ছাত্র যুব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতী রেজাউল করীম আবরার।

ছাত্রযুব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ জুয়েল রাশেদ ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ মারুফ, মুফতী রহমতুল্লাহ বিন হাবিব, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, মুফতী আব্দুজজাহের আরেফী, মুফতী কাওছার বাঙ্গালী, মুফতী আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ডাকাত যতই শক্তিশালি হোক, বাড়ির মালিক একটু হুমকি দিলেই সে ভয় পায়। সুতরাং ভোট ডাকাতদেরকে রুখে দাঁড়ালেই তারা তল্পিতল্পা নিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল জনগণের ভোটাধীকার সংরক্ষণ, মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আওয়ামী সরকার জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। সরকারের সকল দুর্নীতির হিসাব এদেশের মাটিতে পাই পাই করে দিতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, সরকার দূর্নীতির টাকায় খেয়েদেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে নিজেদেরেকে বাঘ মনে করছে, কিন্তু তারা জানে না শিকারেরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে বাঘও তখন পরাজিত হয়।

প্রিন্সিপ্যাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো তাদের শুভবুদ্দির উদয় হয়নি। ভাল চাইলে জাতীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় হন, নচেৎ টেনেহিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আজকে শুধু ছাত্র আর যুবকদের শক্তিমত্তার ধারণা দেয়া হল, এতেই সরকারের ভিতর কম্পন শুরু হয়ে যাবে।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, শেখ হাসিনা নাকি বোঝেন না দেশের মানুষ তাকে কেন চায় না। তিনি জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন, ছয় শতাধিক লোককে গুম করেছেন, বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে অসংখ্য লোককে দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় শতশত মায়ের বুক খালি করেছেন, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দূর্নীতি করেছেন, এজন্য দেশার জনগণ তাকে চায় না।

সরকারের পতন অনিবার্য। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নের কথা বলে, অথচ তারা ওয়ান ডে ডেমোক্রেসি বা একদিনের ভোটের সংস্কৃতিটা পর্যন্ত নষ্ট করে দিয়ছে। এই সরকার স্বৈরাচারি শাসন কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের ফলে এখন দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশের মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, শেখ হাসিনা মূলত এদেশের উন্নয়নের জন্য আসেনি, সে এসেছে তার পরিবারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু সে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আপোস করে নিরিহ জনগনকে হত্যা করে এর ঝাঁঝ মেটাচ্ছে। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তাই তার চরিত্র প্রমান করে। অতএব, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে দেশের জনগণ যা যা করা দরকার করবে ইনশাআল্লাহ।
মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতায় নিহত ফিলিস্তিনের হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ নিহত হওয়ায় তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, হিংস্র হায়েনারা ফিলিস্তিনের স্বাধীন ভুমি দখল করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তিনিছাত্র ও যব সমাজকে আদর্শিকভাবে গড়ে উঠে জালিম শক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, সরকার মানুষের অধিকার হরণ করেছে। দেশের অর্থ দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার ভারত ও চীনের সহযোগিতায় ক্ষমতায় যেতে চায়। সরকারের সে খায়েশ পুরণ হবে না। সরকারের ২৫২জন বিভিন্ন আমলা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করছে। আমেরিকা আবার এগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here