নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই গড়ে তুলেছেন মানব বসতিতে মুরগির ফার্ম। খামারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তীব্র দুর্গন্ধে ওই এলাকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে
এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় জাকির হোসেন নান্নু নামে ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকায়, তানাকা সুইটস” বহুতল ভবনের চতুর্থ তলায় একটি ফ্ল্যাটে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়েছেন মুরগির ফার্ম। যেখানে হাজার কর্মব্যস্ততার পর শান্তির নীড়ে শান্তির ঘুম আচ্ছন্ন হয় বিভিন্ন কর্মজীবী মানুষ, ঠিক সেখানে গড়ে তুলেছেন অসুস্থকর পরিবেশে মুরগির ফার্ম। আশপাশের অনেক ফ্ল্যাটের মালিক ও ভাড়াটিয়া তাদের পরিবার নিয়ে ভুগছেন বিভিন্ন রোগে।
এ ছাড়া দলীয় কোন পদ পদবী না থাকলেও বিএনপি’র আত্মীয়র নাম ভাঙ্গিয়ে হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া। যেমনি উঠেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও। বিএনপি প্রচার দলের সহ সাধারণ সম্পাদক, আকবর হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জাকির হোসেন নান্নুর দলীয় পদবী জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তাকে ভালো করে চিনি না তবে আমার কাছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসছে।
এ বিষয়ে অ্যাপার্টমেন্ট মালিকের মাহিন এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন নান্নু সাহেব এপার্টমেন্টের ফ্লাট কিনেছেন ,কিন্তু বসতরত ফ্লাটে মুরগির খামার করা এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বসবাসরত ফ্লাটে সে কখনোই মুরগির খামার গড়ে তুলতে পারেন না। এতে পরিবেশ দূষিত হয় এবং বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায় আশপাশে বসবাসকারী মানুষের সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা দেখি আমি নান্নু সাহেবের সাথে কথা বলবো।
অসংখ্য ফ্লাট ভাড়াটিয়া এবং ফ্লাট মালিক আছেন ক্ষোভ ও চাঁপা কষ্ট নিয়ে। এলাকাবাসী ও ফ্লাট মালিকেরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারাও রয়েছেন এ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে। তাদের দাবি এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে বাঁচতে, বিভিন্ন জায়গায় এটা বন্ধের দাবিতে তারা অসংখ্য প্রতিবাদ করেও মেলেনি কোন ফল। আশপাশ এবং এলাকাবাসীর দাবি এই সমস্যা থেকে যাহাতে পরিত্রান পেতে পারে তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।