গণমাধ্যম ও সৃষ্টির কল্যানে যিনি বিরামহীন এক কলম সৈনিক।
দেশ মাটি মানুষ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য যিনি বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতে ও কুণ্ঠাবোধ করেননা।
কক্সবাজারের সেই নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান এখন নিজেই জীবন মরন সন্ধিক্ষণে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটপট করছেন।
আশপাশে প্রিয় জন বলতে দুটি অবুঝ শিশু এবং স্ত্রী হাছিনা মোস্তফা ছাড়া এখন তার পাশে কেউ নেই বল্লেই চলে।
মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ৫ম তলায় জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে এই চিত্র।
ফরিদুল মোস্তফা খানের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুকে ব্যথা জনিত কারণে ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি ভর্তি হন।এরপর থেকে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ টিম তাকে দফায় দফায় বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা এবং ঔষধপত্র দেওয়া হচ্ছে।কিন্তুু তিনি এখনও অনেক পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে না পারায় তার চিকিৎসা নিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। যেটুকু কাগজ পত্র আমরা হাতে পেয়েছি তাতে দেখা যায়,ফরিদুল মোস্তফা খান শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।তবে তার শারীরিক ব্যাথা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দন্ত ব্যাথা, পাইল্স জনিত রক্তক্ষরণ সহ কিছু সমস্যা আছে।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে অচিরেই তিনি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য,পুলিশের মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি সহ জেলার মাদক ঘোষ দুর্নীতির এবং বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যাকান্ড ও টেকনাফ কক্সবাজারের মাফিয়া রাজনীতিবিদদের মূর্তমান আতংক নির্যাতিত সাংবাদিক এই ফরিদুল মোস্তফা খান।
একারণে ওসি প্রদীপের আমলে ক্ষিপ্ত কক্সবাজার পুলিশ তাকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা,২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ৫ রাউন্ড কার্তুস, দেশি বিদেশী মদ বিয়ার এবং চাঁদাবাজি সহ ৬ টি সাজানো মামলা দিয়েছিলো।
মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের পর বিষয়টি জানাজানি হলে সহকর্মী সাংবাদিক এবং সচেতন মহলের চাপে সরকার তাকে ওই সময় কারামুক্তি দেন।
এর আগে তিনি টানা ১১ মাস ৫দিন কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এসময় কারাগারের ভিতরে বাইরে প্রদীপের মাদক সিন্ডিকেট তাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।