মোঃ কাওছার হোসেন, বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লায় হত্যা মামলার আসামিরা ফের বেপরোয়া,ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্কুল শিক্ষকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যে কোন সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকাবাসী। আহত সুত্রে জানা যায়, উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্কুল শিক্ষক বিপুল হালদার ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে লোকনাথ বাজারে পৌঁছলে তাকে পথরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায় ওই এলাকার মোঃ লুৎফর রহমান টিটু, তাইজুর রহমান পান্নু, বাসুদেব মালাকার, গ্রাম পুলিশ নাজির ও রুহুল আমিন। এসময় আহত শিক্ষক ডাকচিৎকার করলে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা জড়ো হলে তাকে পরবর্তীতে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেয় বীর দর্পে চলে যায় হামলাকারীরা।
আহত বিপুল হালদার উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয় এবং হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যপারে আহত বিপুল হালদার জানান, আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু হত্যা মামলার দুই আসামি লুৎফর রহমান টিটু ও তাইজুর রহমান পান্নু এবং বাসুদেব মালাকার, নাজির চৌকিদার, রুহুল আমিন হাওলাদারসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে আমার উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। মুলতঃ আমাকে ওই ওয়ার্ডের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে হামলা চালায়। আমি স্থানীয়দের সহায়তায় অল্পের জন্যে প্রানে বেঁচে যাই। উল্লেখ্য ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিলো তাইজুর রহমান পান্নু ও ১০ নম্বর আসামি লুৎফর রহমান টিটু। যার মামলা নং- ১৮/২২৬ উজিরপুর। তিনি আরো বলেন, ৭নং ওয়ার্ড জল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য আমার উপর প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা।
আহত বিপুল হালদার মুলাদি বাটামারা মুলাদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অভিযুক্ত তাইজুর রহমান পান্নু ও গ্রাম পুলিশ নাজির বিষয়টি এড়িয়ে যান। এদিকে ওই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন আহত’র পরিবার। এছাড়াও হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ জল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বরিশাল জেলার উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।