বছরের পর বছর ধরে অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর আচরণ: ঘোর অন্ধকারে ঢেকে যায় বাংলার আকাশ: মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও প্রগতির চাকা থমকে যায়। আইন করে বন্ধ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, ধধ্বংস করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কিত সব… সবকিছু। কিন্তু ইতিহাসের ঢাকাকে বেশিদিন যেমন পিছিয়ে রাখা যায়নি, তেমনি মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুও ফিরে এসেছেন আমাদের কাছে সপ্রতিভ হয়ে। এ যেন শেখের বাঘের স্বরূপে ফিরে আসা; বর্তমান প্রজন্মের কাছে সেসব সত্য তুলে ধরতে।
আসছে দৃশ্যকাব্য প্রযোজনায় ১৩ তম প্রদর্শনী নাটক ”বাঘ” ৩ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালা এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে।
বিশ্ব ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট। ঘাতকদের প্রতিহিংসার হাত থেকে সে সময় ছোট্ট শিশু রাসেল যেমন রক্ষা পায়নি, তেমনি শুধু বঙ্গবন্ধুর দেওয়া উপহার বলেই নিরীহ প্রাণী বাঘটির ওপরও শুরু হয় অত্যাচার। তাকে জনসমক্ষে রাখা যাবে না, তাই রাখা হয় চিড়িয়াখানার মাটির নিচের কারাগারে।
চলে সময় নাটকের মধ্য দিয়ে সেই যথার্থতা সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন। ইতিহাস-আশ্রিত একটি তথ্যনির্ভর নাটক নিয়ে কাজ করা একজন নির্দেশকের পক্ষে কতটা দুরূহ, তা যারা থিয়েটার-সংশ্লিষ্ট আছেন তারা বুঝতে পারেন। বাংলাদেশের নাট্যমঞ্চে জনপ্রিয় নির্দেশক হিসেবে যিনি এরই মধ্যে তার মেধা ও মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন, ড. আইরিন পারভীন লোপা, ‘বাঘ’ নাটকটি মঞ্চে আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন, যা সাধুবাদ পাওয়ার দাবি রাখে। নির্দেশক নাটকটি মঞ্চে আনার ক্ষেত্রে বাহুল্য বর্জন করে সরলভাবে বলার চেষ্টা করেছেন, যা তার নাটকের অভিনয়রীতি কৌশল, আবহ সংগীত, আলোক পরিকল্পনা, সেট, পোশাক ও প্রপসে ফুটে উঠেছে।
তুমি বিনে রে মুজিব- এ গানের মতো বঙ্গবন্ধুর বাঘ তার স্বরূপে ফিরে এসেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে একজন নাট্যকার নাসরীন মুস্তাফা, একজন নির্দেশক ড. আইরিন পারভীন লোপা ।