রান্নাঘরের সঙ্গে মানুষের একটি বিশাল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। হেঁসেল বাড়ির শুধু রান্না করা জায়গা নয়, সেখানে মিশে থাকে নতুন আনন্দ, নতুন স্বাদ, নতুন ঘ্রাণ, নস্টালজিয়া। প্রত্যেকের বাড়িতেই হেঁসেল বিদ্যমান। মন্দিরের মতোই এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি পবিত্র বলে মনে করেন অনেকে। গৃহের এই অংশটির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে বাস্তুযোগ। কারণ পকিবারের মঙ্গল ও শুভ দিক বজায় রাখার জন্য বাস্তু অনুযায়ী রান্নাঘরেরও একটি নির্দিষ্ট দিক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবারের সুখ ওশান্তি বজায় রাখতে রান্নাঘর থেকে বেশ কিছু জিনিসের অবস্থানকে পরিবর্তন করা উচিত। তাতে দূরে থাকবে অশুভ শক্তি ও নেগেটিভিটি। ঘরের পবিত্র স্থান যেখানে রান্না করা হয় তেমনি সেখানে কী কী করণীয় ও করণীয় নয়. তা মেনে চলা অপরিহার্য। ঘরের কোথায় রান্নাঘর থাকা উচিত, সেই নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, তা জেনে নিন
রান্নাঘর একটি বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে খাবার রান্না করা হয়, তাই একটি পবিত্র স্থান বলে মনে করা হয়। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি পরিবারের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য বাস্তুর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রান্নাঘর নির্মাণ ও নকশা করা অপরিহার্য। তাই বাড়ি তৈরি করার সময় রান্নাঘরে ডিজাইন কেমন হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের তালিকা দিয়েছেন।
আদর্শ অবস্থান: রান্নাঘরটি বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত হওয়া উচিত, কারণ এই দিকটি অগ্নি উপাদানের সঙ্গে যুক্ত, যা রান্নার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। রান্নাঘর কখনই বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে বা টয়লেটের কাছে থাকা উচিত নয়।
আভেনের অবস্থান: রান্নাঘরের আভেন সবসময় পূর্ব দিকে মুখ করে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা উচিত। রান্না করার সময় যিনি রান্না করছেন, তিনি যেন উদীয়মান সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, যা বাস্তু অনুসারে শুভ বলে মনে করা হয়।
রান্নার দিক: রান্না করার সময় রান্না যিনি করছেন, তিনি যেন পূর্ব দিকে মুখ করা উচিত, কারণ এই দিকটি সূর্যের সঙ্গে যুক্ত, যা ইতিবাচকতা ও বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে।
জল রাখার জায়গা: সিঙ্ক এবং জল রাখার জায়গাগুলি উত্তর-পশ্চিম দিকে স্থাপন করা উচিত, কারণ এই দিকটি জলের উপাদানের সঙ্গে যুক্ত।
রঙ: হলুদ, সাদা ও প্যাস্টেল শেডের মতো উজ্জ্বল এবং হালকা রং রান্নাঘরের জন্য আদর্শ, কারণ এগুলি ইতিবাচক এবং সুখের সঙ্গে জড়িত।
প্রাকৃতিক আলো এবং বায়ু চলাচল ব্যবস্থা: রান্নাঘরে যথেষ্ট প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুচলাচল থাকা উচিত, কারণ এর মাধ্যমে রান্নাঘরকে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর ও তাজা রাখতে সাহায্য করে। রান্নাঘরের জানালা পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখা উচিত, কারণ এই দিকগুলি প্রাকৃতিক আলো, ইতিবাচক শক্তির সঙ্গে জড়িত।
রেফ্রিজারেটর বসানো: রেফ্রিজারেটরটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে স্থাপন করা উচিত, কারণ এই দিকটি পৃথিবীর উপাদানের সঙ্গে যুক্ত, যা স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্যের প্রতিনিধিত্ব করে।
স্টোরেজ: স্টোরেজ ক্যাবিনেট ও তাকগুলি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে স্থাপন করা উচিত, কারণ এই দিকটি স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্যের সঙ্গে জড়িত।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি: বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন মিক্সার, গ্রাইন্ডার ইত্যাদি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত, কারণ এই দিকটি আগুনের উপাদানের সঙ্গে জড়িত।
এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)