মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
Homeগণমাধ্যমঅবিলম্বে নিহত ও আহত সাংবাদিকদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে

অবিলম্বে নিহত ও আহত সাংবাদিকদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে

spot_img

গত ১৬ বছরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহত সাংবাদিকদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন।

১৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটি আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নাগরিক ও সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পরিচালক হুমায়ুন কবির, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জামাল উদ্দিন, লুতফুন নাহার রিক্তা, মোল্লা নাছির উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম ভুইয়া, গোলাম কিবরিয়া ও রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন সভাপতি জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশে গত ১৫ বছরে যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদেরকে রাস্ট্রীয় সম্মান প্রদান করতে হবে। নিহত সকল সাংবাদিক পরিবারকে মাসিক ভাতাসহ রাস্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। নিহত সাংবাদিক সাগর-রুনিসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার দ্রুত ট্রাইবুনালে করতে হবে । স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার রোষানলে পরে জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৫ বছরে যত সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে অনেক সাংবাদিক চিকিৎসাধীন আছেন তাদের রাস্ট্রীয় আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়ে সাংবাদিক নিবর্তণ মূলক আইসিটি এ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে। দেশের মানুষের কন্ঠস্বর চেপে ধরে যত সোস্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ মূলক আইন আছে তা বাতিল করতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ দেশের সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে যেসকল প্রতিষ্ঠান কাজ করে সেগুলো দালান সাংবাদিক মুক্ত করতে হবে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের চাটুকারিতা করেছে এমন মিডিয়া হাউস স্বাধীন গণতন্ত্রমনা সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে দিতে হবে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সাংবাদিকদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, বাংলাদেশকে ভারতীয় তাবেদারী থেকে বাহির হয়ে আসতে হবে। স্বাধীন দেশে ভারতীয় প্রশাসন তাবেদারী করতে দেয়া যাবে না। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়ের সকল আইন ও কালাকানুন বাতিল করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর দেশে যাতে আর কোন বৈষম্য না থাকে, প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ রাস্ট্রের সেবক মালিক নয়, পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। দেশে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয় ও স্বৈরাচারের রোষানলে পরে যেসকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ সেগুলো খুলে দিতে হবে। প্রশাসনিক আমলাদের দলীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। দেশের সকল আদালতে গত ১৫ বছরে সাংবাদিক নির্যাতন মূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here