রাজধানী সহ সারা দেশে ডিজিটাল কায়দায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা, জেল, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন চলমান। সাংবাদিক সাগর, রুনির,কথা এই জাতি কখনো ভুলবে না। সাংবাদিক সমাজের ভুলার কথাও নয়। সম্প্রতি কর্তব্যরত অবস্থায় মনিং টাইমস মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার শামীম আহমেদ,জেএটিভি’র সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক রবিন,সিনিয়র ক্যামেরা পার্সন খোকা আমিন, ক্যামেরা পার্সন রুবিনা শেখ ও সহকারী আমিনুল ইসলাম তারা গত ২৮/১০/২৩ইং তারিখে হামলার শিকার হয়।
এদিকে গুলশান বনানী পরিচিত মুখ অপরাধ বিচিত্রা সংবাদ কর্মী ও খিলক্ষেত প্রেসক্লার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিব সরকার স্বাধীন কে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়, যার যথার্থ প্রমাণ থাকার সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংবাদ কর্মী স্বাধীন দাবি করেন অপরাধীদের মুখোশ জনসম্মুখে উপস্থাপন করায় আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
যার কল রেকর্ডিং পুলিশের জবানবন্দি যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিপূর্বে ভাইরাল হয়েছে। সর্বশেষ পুলিশের নাটকীয় মামলার অভিযোগ দিয়ে কোন নিরাপত্তা পাইনি। উল্টো পূর্বের মত তাকে আবারও ফাঁসানো হয়, মাদকের মত ভয়ংকর মামলায়। এই সংবাদকর্মী কখনো একটি সিগারেট খাইনি। এছাড়াও কিছুদিন আগে ক্ষমতাশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার জেরে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কে সাক্ষী রেখে নাটক সাজিয়ে অবৈধ গ্যাস বিদ্যুৎ সাপ্লায়ার নারীকে দিয়ে আদালতে মামলা করে এই বাহিনী। সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হামলা মামলার প্রতিবাদে গত ২৬/১১/২৩/সকাল ৯ টায় খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের আয়োজনে অপরাধ বিচিত্র প্রকাশক এস,এম, মোরশেদের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় এই বেপরোয়া তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
যা দেশের গণমাধ্যম জগতের জন্য এক অশনিসংকেত। বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাগুলো সংবিধানস্বীকৃত স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করে, যা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়।
বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত হামলা-মামলা-নির্যাতন ও হত্যা স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে,
যার সর্বশেষ নিদর্শন জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী হত্যাকাণ্ড। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক-২০২৩-এর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়। গত দুবছরে বাংলাদেশ (গণমাধ্যম সূচকে) ১১ ধাপ ও ১৪ বছরে ৪২ ধাপ নিচে নেমেছে।
যে বিষয়গুলোর ওপর এই সূচক নির্ধারিত হয়, তার অন্যতম একটি বিষয় হলো সাংবাদিকের নিরাপত্তা। আর ঠিক সেখানেই বাংলাদেশের স্কোর হতাশাজনক ভাবে কম। দেশে বারবার সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা ঘটলেও এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত বিচার না হওয়া।
অদৃশ্য শক্তির’ প্রভাবে ছাড় পেয়ে যাওয়ার ফলে দেশে এ ধরনের ঘটনা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বলা বাহুল্য। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অযাচিত আক্রমণ, সহিংস ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য চরম বাস্তবতা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিচারহীনতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনাগুলো বাংলাদেশের গণমাধ্যমে নিঃসন্দেহে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।