নিজস্ব প্রতিবেদক :
রমজান মাস জুড়ে রাজধানীর ২৫টি নির্দিষ্ট স্থানে খাসি, মুরগি ও দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রির তদারকি করবে সরকার। সরকার ১০ মার্চ থেকে পণ্যগুলো বিক্রি শুরু করার ঘোষণা আগে থেকেই দিয়ে রেখেছেন । এছাড়া আরও পাঁচটি স্পটে গরুর মাংস পাওয়া যাবে ৬৫০ টাকা কেজিদরে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও সারা দেশের গবাদিপশু খামারিদের সহযোগিতার মাধ্যমে এ পরিকল্পনা কার্যকর হবে।
রমজানজুড়ে রাজধানীর ২৫টি নির্দিষ্ট স্থানে খাসি, মুরগি ও দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রির তদারকি করবে সরকার। এছাড়া আরও পাঁচটি স্পটে গরুর মাংস পাওয়া যাবে ৬৫০ টাকা কেজিতে।
সরকার যখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করার ঘোষণা দিল, তখন ঢাকার বাজারে এ পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৭৫০–৮০০ টাকায়। মাংসবিক্রেতারা প্রতি বছরের মতো এবারো রমজানের আগে আরও এক দফা দাম বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছেন বলেও জানা গেছে।
বিডিএফএ সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, বাজারে যে দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, তা হওয়ার কথা নয়। কারণ খামারি পর্যায়ে গরুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। যেমনটা ছিল ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে, যখন ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখনকার দামটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইমরান বলেন, খামারিরা সামান্য কম দামে গরু বিক্রি করে সহায়তা করতে আগ্রহী। ‘খামারিরা কসাইয়ের কাছে যে গরুটা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন, সেটা এখানে তিনি বিক্রি করছেন হয়তো ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। এটাকে লোকসান নয়, জনগণকে ন্যায্যমূল্যে মাংস দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বলা যেতে পারে।’
বিক্রয়ের সুবিধার্থে ৩০টি ডেজিগনেটেড স্পটে দুটি বিতরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। পঁচিশটি মোবাইল ভ্যান গরুর মাংস, মুরগি, খাসি, দুধ ও ডিম বিক্রি করবে। এর বাইরে পাঁচটি ডেজিগনেটেড বাজারে শুধু গরুর মাংস বিক্রি হবে।
বিক্রয়কাজ সহজ করার জন্য দৈনিক পরিচালন খরচ বহন করবে সরকার। চালকের মজুরিসহ প্রতিটি ভ্যানের পেছনে দৈনিক প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
আর খামারিরা সরবরাহ করবেন সবগুলো পণ্য। ওই পণ্য বিক্রি হওয়ার পর খামারিরা তাদের পণ্যের টাকা বুঝে নেবেন। প্রতিটি ভ্যানে যে দুজন মানুষ বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করবেন, তাদের দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টাকা খামারিদের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
সরকার ১০ মার্চ থেকে পণ্যগুলো বিক্রি শুরু করবে। ৫টি স্পটে শুধু গরুর মাংস বিক্রি করা হবে প্রথম রোজা থেকে। এখানে প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করবেন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
প্রতিদিন একেকটি ভ্যানে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৫০ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি, ১০ কেজি খাসি, ৪ হাজার ডিম ও ২০০ লিটার দুধ বিক্রি করা হবে।
৬০০ টাকার গরুর মাংসের পাশাপাশি ২৫০ টাকায় মুরগির মাংস, ১১০ টাকা ডজন ডিম, ৯০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস এবং ৮০ টাকা লিটার হিসেবে বিক্রি হবে দুধ। শুরুতে মুরগির মাংস ২৮০ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে সেটি কমিয়ে ২৫০ টাকা করা হয়েছে।