শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Homeঅপরাধবিআরটিএ কর্মকর্তার সার্টিফিকেট নাম বয়স জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান

বিআরটিএ কর্মকর্তার সার্টিফিকেট নাম বয়স জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান

আনিছ মাহমুদ লিমন :

spot_img

মাহাবুবুর রহমান, মাহবুবুল আলম দুটি নাম একই ব্যক্তি সরকারি চাকরিতে করেছেন সার্টিফিকেট ও বয়স জালিয়াতি।

এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার নাম রয়েছে মাহবুবুল আলম , পরবর্তীতে সাত বছর বয়স কমিয়ে , গুয়ারেখা রাব্বানিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে মাহাবুবুর রহমান নামে রেজিস্ট্রেশন করে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে চাকরি নিয়েছেন বিআরটিএ তে। তার পূর্বের এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী সরকারি চাকরির বয়স না, থাকলেও সরকারকে কিন্তু ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে দাখিল মাদ্রাসার সার্টিফিকেট দিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছেন সরকারি চাকরি , রয়েছেন এখনো বহলতবিয়তে, কয়েক বছরে হয়েছেন কোটিপতি। ঢাকায় কিনেছেন বহুতল ভবন, কয়েকটি ফ্লাট । নিজ গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন বিভিন্ন নামে বেনামে বিঘায় বিঘায় জমি। যাহার মৌজানং –

কলাখালী জিন্নাত আলী মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বিদ্যালয়টির একটি পূর্ব নাম ছিল)। বর্তমানে।
জিন্নাত আলি মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ নামে চলমান রয়েছে। সেখান থেখে ১৯৯০ ও ১৯৯১ শিক্ষবর্ষে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৯২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ফেল করেন আবারও ১৯৯৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মোট ৬০৬ নম্বর পেয়ে পাস করেন, যাহার রোল নং ১৮৬ এবং রেজিস্ট্রিশন নং ৮০৩৪০১।

পরবর্তীতে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষা বর্ষের পরীক্ষায় ১৯৯৫, ১৯৯৬,১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ এর এইচএস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ফেল করেন যাহার শ্রেনি রোল নং ৬৭১, পরীক্ষায় রোল নং ১০২২৬৬, রেজিষ্ট্রেশন নং ০০৮১৮৯ এবং তাহার ভোটার আইডি কার্ডে মাহাবুবুর রহমান নামে জন্ম তারিখ রয়েছে ২০/০২/১৯৮৩ ইং, তাহার ভোটার আইডি নং ১৯৮৩৭৯৯১৮০৩৪১৭৪৯৮৪। এই নাম ও এই জন্ম তারিখ দিয়ে ২০১২ সালে বিআরটিএ এর বরিশাল শাখায় চাকুরীতে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে সাতক্ষীরা, খাগড়াছড়ী কেরানিগঞ্জ ফিটনেস শাখায় ফিটনেস শাখায় কর্মরত থাকাকালীন প্রমোশন পেয়ে সহকারি পরিচালক পদে পদোন্নতি পান তিনি। পরবর্তীতে মাদারীপুরে যোগদান করে, মাদারীপুর থেকে সহকারী পরিচালক হয়ে ঝালকাঠি এবং পিরিজপুরে দুইটি জেলার দায়িত্ব পান তিনি। চাকুরীতে যোগদান কালীন তাহার বয়স ছিল ৩৫ বছর, যাহার সরকারী চাকুরী বিধির পরিপন্থি এবং নিজেকে সে, মেজিস্ট্রেট বলে এলাকায় পরিচয় দেয় এবং বিভিন্ন অপকর্ম করে।

তার প্রধান কাজ সংঘবদ্ধ গাড়ী চোর চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে চোরাইকৃত গাড়ীর অবৈধ কাগজ তৈরী করে বৈধতা প্রদান করা। তিনি বাংলাদেশের যেখানেই চাকরিতে যোগদান করেছেন সেখানেই তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট এবং বিআরটিএ-তে রয়েছে তার একাধিক দালাল চক্র এই দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রতিমাসে কামিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ঢাকাতে কিনেছেন পাঁচ তলা ভবন ফ্লাট।

তার নিজ এলাকার কিছু চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীদের সমন্বয়ে অন্যের জায়গা দখল, মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী সব কিছু যেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায়। এ বিষয়ে মাহাবুবুর রহমানের পিতা আঃ রাজ্জাককে সকল প্রকার কাজে সহযোগিতা করছেন এবং তার ঘনিষ্ট সহযোগি ও পালিত ক্যাডার মোঃ ইদ্রিস ফকির, পিতাঃ মৃত মোজাহার ফকির, সাং কলাখালী, থানা+জেলাঃ পিরোজপুর। যিনি পূর্বে ঢাকা জেলার নবীনগর, পল্লী বিদ্যুৎ, পলাশবাড়ী ও বাইপাইল এলাকার ছিন্তাইকারী দলের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে এলাকায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছেন।

তার জন্ম তারিখ গোপন নাম পরিবর্তন তথ্য জালিয়াতি করে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করে, এলাকায় নিজেকে মেজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এমনকি যাহা দেশ দ্রোহী, রাষ্ট্রবিরোধী, এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে, যাহা গুরুত্বর অপরাধ। বিষয়টি বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে, যোগাযোগ মন্ত্রনালয়, দূর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং যথাযথ ব্যবহার গ্রহণের আবেদন।

এবিষয়ে মাহাবুব এর সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার তার মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১ম পর্ব আজ।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ খবর

spot_img
আরও খবর
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here