বাজারে প্রচুর শীতকালীন শাক-সবজি থাকার পরেও ৬০ টাকার নিচে নেই তেমন কোনো সবজি। এক বছর আগে শীতের এই সময়ে যেসব সবজির দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা এ বছর সেটা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। ভরা মৌসুমেও চড়া দামে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ পিস, বাঁধাকপি ৪০-৫০টা, শিম ৭০-৮০ টমেটো ৬০-৭০, করলা ৬০-৭০ টাকা, মূলা ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০-৮০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া একশ টাকার উপরে, গাজর ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মুগদা মদীনাবাগ বাজারে সাইফুল নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এত শাক সবজি তারপরেও কেন এত দাম। গত বছর এই সময় তো এত দাম ছিল না। এই সময় বেগুনের কেজি থাকে ২৫-৩০ টাকা, মূলা থাকে ১০-২০ টাকা, সেই বেগুন-মূলা এখন ৫০-৬০ টাকার উপরে। এখনই যদি এত দাম হয় তাইলে সিজন ছাড়া দাম কেমন হবে!
এদিকে শাকের মধ্যে সরিষা শাক আঁটি ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫-২০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। ব্রয়লা মুরগী ২০০-২১০ টাকা, সোনালি ৩২০-৩৪০ টাকা। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫-১৪০ টাকা, ৫-১০ টাকা কমে সাদা ডিম।
মাছের বাজারে তেলাপিয়া মাছের দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। পাঙ্গাস ১৮০-২২০ টাকা। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ।