স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশের কথিত সোর্সরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে ক্রমেই। পল্লবী থানা পুলিশের অধিকাংশ সোর্সই সাধারণত পেশাদার অপরাধী। নামে ‘পুলিশের সোর্স’ হলেও হাতেগোনা দু’একজন অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নিরীহ লোকজনকে ফাসিয়ে অর্থ আদায়, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধই কথিত এই সোর্সদের মূল কাজ।
পল্লবীর প্রতিটি মহল্লা ও ক্যাম্পগুলোতে পুলিশের সোর্সদের কাছে স্হানীয় সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারাই মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রন করে আসছে। এই সব কর্মকান্ডের কারনে এলাকাবাসিরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
স্হানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, তারা না-কি পুলিশ প্রসাশনকে ম্যানেজ করে মাসের পর মাস বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসাসহ তাদের অপকর্ম গুলো চালিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে মারধর করে, ভয়-ভীতি ও হত্যার হুমকী দিয়ে থাকে। এমনকি যারা প্রতিবাদ করে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো থানায় অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে।
স্হানীয়দের সুত্র জানা গেছে, পল্লবী থানাধীন কালশী, বাউনিয়াবাধ এলাকায় বসবাসরত পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত টেক্কা, রাজ্জাক, মামুন, সুমন, গাঞ্জা লাল, পাপলু, রাব্বি, ডিম সোহাগ ও রুবেল এখন শীর্ষ মাদক কারবারি। তাদের মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের ভিডিও এসেছে মিডিয়ার হাতে। এদের নেতৃত্বে দেন টেক্কা ও রাজ্জাক।
তাছাড়াও পল্লবীতে রয়েছে শতাধিকের উপরে সোর্স, তারা সবাই কোন-না কোন অপরাধের সাথে জড়িত। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পল্লবী থানাসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদক মামলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলা রয়েছে।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, পুলিশের সোর্সরা প্রায়ই নিজ স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ সোর্সদের ওপর এতো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে যে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই না করেই অভিযান চালায় যাতে অনেক নিরীহ মানুষ বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়।
এ-বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, সোর্সরা পুলিশের নাম ব্যবহার করে অপরাধ চালায় বলে আমরা প্রায়ই অভিযোগ পাচ্ছি। অপরাধ যারা করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।