সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার চর মরজাল এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে জমি মাপামাপির সময় ধাক্কা দেয়ায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার মৃত আমির হোসেনের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৫৩) নিজ বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জমি মাপার সময়ে শরিফ নামের একটি ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তারকে হঠাৎ বুকে ধাক্কা দিলে তিনি গাছের সাথে বাড়ি খেয়ে পড়ে যান।
ঘটনার সাথে সাথে তাৎক্ষনিক আব্দুস সাত্তারকে রায়পুরা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে গেল কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে আব্দুস সাত্তারের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ শরিফ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আব্দুস সাত্তারের জমি অবৈধ দখলে নেয়ার চেষ্টা করছিলো। হঠাৎই গতকাল জমি মাপার সময় আব্দুস সাত্তার বাঁধা দিতে গেলে শরিফ তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধাক্কা মারে।
এদিকে চর মরজাল এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জল মিয়া সংবাদকর্মীদেরকে জানান, কিছু দুষ্কৃতিকারীরা সালিশের কথা বলে উভয়পক্ষের নিকট থেকে টাকা খেয়ে এলাকায় একটি সংঘর্ষ বাঁধিয়ে রাখে। যাতে করে উভয় পক্ষের নিকট থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, চরমরজালে একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র সিন্ডিকেট রয়েছে। যারাই অতিরিক্ত মুনাফা দিতে পারে তাদের পক্ষেই রায় হয় গ্রাম্য সালিশের দরবার। প্রকৃত অসহায় মানুষেরা টাকা না দিতে পারায় মৃত্যুও ঘটে এবং নিজের জমিও হারায়।
এদিকে রায়পুরা থানার ময়নাতদন্তের লাশ বহনকারী রজব আলী সংবাদকর্মীদেরকে জানান, আব্দুস সাত্তারের ঘাড়ের পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত, এই আঘাতের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট উক্ত বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন বলে জানান। পুলিশ উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশাবাদী।
বর্তমানে আব্দুস সাত্তারের লাশটি এখন ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানার এ.এস.আই নিতাই চন্দ্র দাস সংবাদকর্মীদেরকে জানান, ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক লাশটিকে রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তৃপক্ষ ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর ও তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত পদক্ষেপ নেয়া হবে।