দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলাস্থ ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে শ্রীরামপুর, আংগারিয়া, মুরাদিয়া, লেবুখালী, পাংগাশিয়া ইউনিয়নে ২দিন ও রাতে অব্যাহত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি ও বাতাসের প্রভাবে আমন ধান ও রবি মৌসুমের শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎতের মেইন খুঁটি ভেঙে হেলে পড়ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঠান্ডা বাতাস, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, সারারাত মাঝারি আকারের ও শুক্রবার ভারি বর্ষণের ফলে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে উপজেলা প্রশাসন মিথিল’র মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপজেলার সকল দপ্তরের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে, ইতিমধ্যে সকালে সকল সাইক্লোন শেল্টারে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনসাধারণ দূর্যোগ কালীন সময়ে আশ্রয় নিতে পারেন। বিভিন্ন এলাকার নিচু জমির আমন ধান বাতাস ও বৃষ্টি ২থেকে ৩ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। রবি মৌসুমের শাক- সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যাপক ফসলহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচরে ৫টি কাঁচা ঘর বাতাস ও বৃষ্টির কারণে উপড়ে ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। দুমকী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এজিএম মোশাররফ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎতের ২টি মেইন খুঁটি ভেঙে গেছে, অন্তত ২০টি হেলে পড়েছে, ৭০ টি লাইন ও ৫২ টি মিটার ছিঁড়ে গেছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার সকল পয়েন্টে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে কমপক্ষে ২-৩ দিন সময় লাগবে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইমরান হোসেন জানান, আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, প্রায় ১৯৪০ হেক্টর প্রান্তিক ও ১১৫০ হেক্টর আমন ও ইরি ধানের ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের রবি মৌসুমের শাক সবজি, খেসারি ডাল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান জানান, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র মোকাবেলায় আমরা সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছি।