আনিছ মাহমুদ লিমনঃ
রাজধানীর মিরপুরে ইস্টার্ন হাউজিং ও শিয়ালবাড়ি ওয়াশিং প্লান্টে অবৈধ গ্যাস সংযোগ. চোর ও মহাচোরদের খপ্পরে পড়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। রাজধানীতে তিতাসের যেসব গ্যাস সংযোগ রয়েছে তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অবৈধ। শিয়ালবাড়ি ও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ কারিরা হলো, সাদ্দাম, জাহিদ, দেলোয়ার, মাছুম, সামছু সহ আরো অনেকে।
মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং ও শিয়ালবাড়ি এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে চালানো হচ্ছে বড় বড় ওয়াশিং প্লান্ট ফ্যাক্টরি অবৈধ এসব গ্যাস সংযোগে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায় ওয়াশিং প্লান্টে অবৈধ গ্যাস সংযোগের নিয়ন্ত্রণ করছেন তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে প্রতিদিনই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়,অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণেই গ্যাসের পাইপ লিকের ঘটনা ঘটছে।
রাজনৈতিক দলের অসৎ নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধি নামধারীরাও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তিতাস গ্যাসের এসব অবৈধ সংযোগ দেয়া হয় ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে। মাঝেমধ্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের অভিযান চলে তবে সে অভিযান শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে না।
উচ্চ পর্যায়ের চাপে কোথাও লাইন কাটা হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কিছুদিন পরই আবার অবৈধ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের তত্ত্বাবধানে চলে গ্যাস চুরির মহাযজ্ঞ। এজন্য রাষ্ট্র কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে সংশ্লিষ্টরা রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হয়। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোয় জালের মতো ছড়িয়ে আছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে গ্যাস দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। মানুষের জীবন পড়ছে ঝুঁকির মধ্যে। এ ঝুঁকির অবসানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ শুধু নয়, যারা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানূক পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়ে তিতাসের এমডি হারুন অর রশিদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন নির্দিষ্টভাবে কোন অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রিয় পাঠক অবৈধ সংযোগের সাথে জড়িত দের নাম সহ প্রকাশ করা হবে চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যায়।