শুধুমাত্র মঙ্গলবার দিনের বিরতি দিয়েই আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দিলো সরকারে পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি। ঘোষণা অনযায়ী, বুধবার সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত তৃতীয় দফার এ অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে একদিন বিরতি দিয়ে আগামী বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএনপির কর্মসূচির ঘোষণার আগেই তাদের আন্দোলনসঙ্গী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এর আগে বৃহস্পতিবারও এলডিপির ঘোষণার পর বিএনপির অবরোধের ঘোষণা আসে।
৭ নভেম্বর বিএনপি বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের পর ওইদিনটিতে অবরোধ কর্মসূচির বিরতি দিলো বিএনপি।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে সেই সমাবেশ থেকে ২৯ অক্টোবর হরতাল ডাকে দলটি।
একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর সারা দেশে অবরোধ করে তারা। আলাদা কর্মসূচি দিয়ে সঙ্গে যোগ দেয় যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত। এছাড়া বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা কয়েকটি দলও একই কর্মসূচি দেয়। সেই অবরোধ শেষে রোব ও সোমবার নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়।
২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন থেকে অবরোধ কর্মসূচির শুরুর পর থেকে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিভিন্ন সড়কে বাস, ট্রাক, অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার এবং ভাঙচুর করার খবর এসেছে।
২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন, দলের ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীও।